
সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিয়ে চির বিদায় নিলেন জনতার মেয়র আনিসুল হক। শনিবার বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয় বনানী কবরস্থানে।
বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ বহনকারী গাড়ি আসে বিকেল পাঁচটায়। তাকে সমাহিত করা হয় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে।
এর আগে তার লাশ বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হয়। এখানে তার জানাযায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
এর আগে আনিসুল হকের মরদেহ বনানীতে তার নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী বিমানটি সিলেটে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।
গত শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
ট্যাগ: Banglanewspaper মেয়র আনিসুল হক দাফন